বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানির সাশ্রয়ী ব্যবহারে গ্রাহকদের আরো উদ্বুদ্ধ করতে হবে। সাশ্রয় আর্থিকভাবে লাভবান করার সাথে সাথে পরিবেশ ও সামাজিক নানা নির্দেশক উন্নয়নেও সহায়তা করে। সাশ্রয়ের উপকারী দিক ও প্রক্রিয়াগুলো গ্রাহক ও জনগণকে অবহিত করতে ব্যাপক প্রচারণা চালানো প্রয়োজন।
প্রতিমন্ত্রী আজ ঢাকায় “National Energy Balance: Bangladesh Perspective” শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, মহাপরিকল্পনা অনুসারে ২০৩০ সালের মধ্যে জিডিপি প্রতি ব্যবহৃত প্রাথমিক জ্বালানির ২০% কমানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল, সময়ের প্রেক্ষিতে তা হালনাগাদ করার উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। নবায়নযোগ্য জ্বালানির প্রসার এবং জ্বালানির দক্ষ ও সাশ্রয়ী ব্যবহারে স্রেডা কাজ করছে। জ্বালানি সাশ্রয়ী যন্ত্রাদি ব্যবহার করা আবশ্যক। প্রতিমন্ত্রী এসময় আরো বলেন, মাথাপিছু বিদ্যুৎ উৎপাদন ৫১২ কিলোওয়াট ঘন্টা যা বাড়ানোর উদ্যোগও আমাদের নিতে হবে। মান সম্পন্ন ও নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ দেয়াই আমাদের লক্ষ্য।
“National Energy Balance: Bangladesh Perspective” শীর্ষক এই কর্মশালায় স্রেডাতে পরামর্শক হিসেবে নিয়োজিত energy efficiency and conservation promoting financing project এর টীম লিডার কনসালটেন্ট ইউসি হিকোকাতো (Yoshihik kato) মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। জ্বালানি দক্ষতা ও সংরক্ষণ খাতে ২০১৩-১৪ অর্থবছরের তুলনায় ২৩ শতাংশ জিডিপি প্রতি জ্বালানি ইন্টেন্সিটি কমেছে বলে উপস্থাপনায় বলা হয়। তিনি National Energy Balance তৈরীতে সংশ্লিষ্ট দপ্তরসংস্থা হতে তথ্য প্রদানকে গুরুত্বপূর্ণ বলে উল্লেখ করেন।
স্রেডার চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলাউদ্দিন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মাঝে বিদ্যুৎ সচিব মোঃ হাবিবুর রহমান, বাংলাদেশ পেট্রেলিয়াম কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান এবিএম আজাদ, বাংলাদেশ জ্বালানি ও বিদ্যুৎ গবেষণা কাউন্সিলের চেয়ারম্যান সত্যজিত কর্মকার বক্তব্য প্রদান করেন।
previous post