নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে ২০৩০ সালের মধ্যে ৮৭৪৩ মেগাওয়াট, পরের দশকে ২০৭১১ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের রোডম্যাপ তৈরি করেছে স্রেডা। খসড়া রোডম্যাপ বিদ্যুৎ বিভাগে প্রেরণ করা হয়েছে অনুমোদনের জন্য। তবে এই রোডম্যাপকে কেউ কেউ উচ্চাভিলাসী ও যদি নির্ভর বলতে চাইছেন।
শনিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) এনার্জি এন্ড পাওয়ার আয়োজিত “প্রস্তাবিত সৌর বিদ্যুতের রোডম্যাপ ও বাস্তবতা” শীর্ষক সেমিনারে এমন মতামত উঠে আসে। সেমিনার সঞ্চালনা করেন, এনার্জি এন্ড পাওয়ারের এডিটর মোল্লাহ আমজাদ হোসেন।
মূল প্রবন্ধে বলা হয়, বর্তমানে ৫৪৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে। ডেল্টা প্লানের আওতায় প্রধান নদীগুলোর শাসন করা হলে বিপুল পরিমাণ জমি পাওয়া যাবে। যেগুলো ১৩টি হাব করার সম্ভাবনা রয়েছে। এই হাবগুলোতে ১২ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব। দ্বিতীয় সম্ভাবনা দেখানো হয়েছে ছাদের সৌর প্যানেল থেকে। এই খাত থেকেও ১২ হাজার মেওয়াটের সম্ভাবনা তুলে ধরা হয়েছে।
প্রবন্ধকার সেন্টার ফর রিনিউয়েবল এনার্জি সার্ভিসেস লিমিটেড’র চেয়ারম্যান শাহরিয়ার আহমেদ চৌধুরী বলেন, নবায়নযোগ্য জ্বালানির দ্রুত গ্রোথ হচ্ছে। অন্যান্য টেকনোলজিকে ছাড়িয়ে যাবে। সোলারের কষ্ট কমে যাচ্ছে যেকেনো টেকনোলির চেয়ে। আগে যেখানে কিলোওয়াট প্রতি প্যানেলের খরচ ছিল ৩ থেকে ৪ ডলার এখন ২৬-৩০ সেন্টে নেমে এসেছে।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক মূখ্য সচিব, জাতিসংঘের ক্লাইমেট ভার্নারেবল ফোরামে বাংলাদেশের বিশেষ দূত আবুল কালাম আজাদ বলেন, চর এলাকায় প্রতিযোগিতামূলক বিডিংয়ের মাধ্যমে দেওয়া যেতে পারে। আমাদের প্রস্তুতি রয়েছে সোলার নেওয়ার জন্য। প্রয়োজন হচ্ছে প্লান প্রোগ্রাম করে এগিয়ে যাওয়া। আমাদের পথঘাট জানা আছে। এখন শুধু নেমে পড়া উচিত। খুব সাকসেস নেই, আমরা আরও অনেকদূর যেতে পারতাম। প্রচণ্ড ইচ্ছা শক্তির প্রয়োজন রয়েছে। তবে মনো ফুয়েলের দিকে যাওয়া যাবে না।
তিনি বলেন, পৃথক বিভাগের প্রশ্নটা আসছে, এটি নিয়ে গবেষণা করার প্রয়োজন রয়েছে। অনেকে বলেন, বিদ্যুৎ-জ্বালানি ভাগ করে সমস্যাই হয়েছে। বিদ্যুৎ একদিকে গেলে জ্বালানি অন্যদিকে যায়, নবায়ন নতুন পথ খুলবেন কি না ভাবার দরকার রয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি ড. এসএমএ মাকসুদ কামাল বলেন, ডেল্টা প্লানের উপর ভিত্তি করে যে প্লান করেছি। হাবগুলো বলা হয়েছে, নদীর জমি পুনরুদ্ধার করে। কাপ্তাই এবং হাওড়, বাওরের কথা বলা হয়েছে, সেখানে পরিবেশগত কষ্ট কতো হবে। আমাদের সোলারের পথে যেতেই হবে। কারণ আমাদের গ্যাসের রিজার্ভ কমে আসছে।
জ্বালানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. ইজাজ হোসেন বলেন, ২০ হাজার মেগাওয়াট দিনের বেলা কিভাবে কোথায় ব্যবহৃত হবে। নাকি এগুলো স্টোরেজ করা হবে, তার কষ্ট কতো হবে। জমির সমস্যা সরকার ইচ্ছা করলে একটু ছাড় দিতে পারে।
স্রেডার চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলাউদ্দিন বলেন, রিসোর্স ম্যাপিংটা বেশি জরুরি। এই প্রেক্ষাপটে রোডম্যাপিং করা হয়েছে। এটি বিদ্যুৎ বিভাগে প্রেরণ করেছি। তারা সংশোধন ও পরিমার্জন করে চুড়ান্ত করবেন। প্রধানতম সোর্স হচ্ছে সৌর বিদ্যুৎ, তাই এখন পর্যন্ত এটাকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের সাবেক সদস্য প্রকৌশলী মিজানুর রহমান বলেন, আমাদের পিক হয়, ইভিনিংয়ে। তখন সোলারের কন্টিবিউশন পাচ্ছি না। ইন্টারমেডিয়েট লোড সোলারে রিপ্লেস করতে পারি। তাহলে ম্যাক্সিমাম ২০ শতাংশ করা যাবে। শিল্পায়ন হলে ডে’তে পিক চলে আসবে। তখন সোলার থেকে বাড়তি চাহিদা পুরণ করা যেতে পারে,বাস্তবতার নিরিখে দেখা দরকার।
তিনি বলেন, জমির রিক্সটা নিতে হবে সরকারকে। ল্যান্ড ডেভেলপ এবং লিজের ব্যবস্থা নিতে হবে। বলা হচ্ছে পিডিবি তুমি সোলার করো, ইজিসিবি তুমি করো, কোল কোম্পানি তুমি করো। কো