Forum for Energy Reporters Bangladesh
Image default
Bangla News

সব মন্ত্রণালয়ে ইন্টার্নশিপ চালু হবে

সব মন্ত্রণালয়ে ইন্টার্নশিপ চালু করার বিষয়ে নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে প্রধানমন্ত্রী। এই বিষয়ে নীতিমালা প্রণয়নের কাজ চলমান বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।

রোববার (২২ নভেম্বর) সচিবালয়ে এফইআরবির (ফোরাম ফর এনার্জি রিপোর্টার্স বাংলাদেশ) নির্বাহী কমিটির সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ তথ্য জানান।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিদ্যুৎ বিভাগের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কয়েক বছর ধরেই শিক্ষার্থীদের ইন্টার্ন করানো হচ্ছে। এতে করে সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের মধ্যে একটি ধারণা তৈরি হচ্ছে। অনেক বড় বড় স্থাপনা রয়েছে বা হচ্ছে সেগুলো সম্পর্কে তারা ধারণা পাচ্ছে। ইন্টার্নশিপের মাধ্যমে খুবই ইতিবাচক ফল পাওয়া যাচ্ছে।

বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর নজরে আনা হলে তিনি বিষয়টি ইতিবাচক হিসেবে নিয়েছেন। বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ে ধারাবাহিকতায় অন্যান্য মন্ত্রণালয়ে ইন্টার্ন করানোর বিষয়ে নীতিগত অনুমোদন দিয়েছেন। কিভাবে এগিয়ে নেওয়া যায় তার জন্য নীতিমালা করার নির্দেশ দিয়েছেন।

বিদ্যুৎ বিভাগের উন্নয়ন ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান পাওয়ার সেল’র মহা-পরিচালক মোহাম্মদ হোসাইন বার্তা২৪.কমকে বলেন, বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রীর উদ্যোগে কয়েক বছর আগে আমাদের মন্ত্রণালয়ে ইন্টার্নশিপ চালু করা হয়েছে। সিআরআই (সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন) এর তত্বাবধানে এই কাজটি হয়ে এসেছে। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর আগ্রহীদের তালিকা করে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ বিভিন্ন কোম্পানি ও প্রতিষ্ঠানে ভাগ করে দেওয়া হয়।

এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, আমাদের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে ইন্টার্নশিপের একটি নীতিমালা করার জন্য নির্দেশনা পেয়েছি। সেভাবে কাজ এগিয়ে চলছে। ডিসেম্বরের মধ্যেই প্রস্তুত করে জমা দিতে পারবো বলে আশা করছি।

অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্দিষ্ট বিষয়ের পাঠ্যক্রমের অংশ হিসেবেই ইন্টার্র্নি বাধ্যতামূলক (যেমন ফাইন্যান্স, একাউন্টিং, কম্পিউটার সায়েন্স, বিবিএ, এমবিএ)। এসব বিষয়ে ইন্টার্নশিপের জন্য নির্দিষ্ট মার্ক রয়েছে। যে বিষয়গুলোতে বাধ্যতামূলক নয়, সেগুলোতে শিক্ষার্থীরা নিজের আগ্রহে করতে পারেন। দেশে তিন ধরনের ইন্টার্নশিপ চালু রয়েছে। এগুলো হচ্ছে- পেইড, আনপেইড এবং শিক্ষার্থী পেইড। অনেক প্রতিষ্ঠান ইন্টার্নকে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ দিয়ে থাকে, কিছু প্রতিষ্ঠানে ফ্রি করানো হয়। আবার কিছু প্রতিষ্ঠান রয়েছে যারা হাতে কলমে শেখানোর জন্য শিক্ষার্থীর কাছ থেকে নির্দিষ্ট পরিমাণ ফি আদায় করে থাকে।

Related Posts

প্রাথমিক জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিত করাই দেশের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ

FERB

রমজানজুড়ে গ্যাস-বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার পরিকল্পনা

FERB

প্রচলিত মূল্যেই ক্ষতিপূরণ পাবেন জমির মালিকরা

FERB