অতীতে শুধু পাওয়ার সিস্টেম মাস্টারপ্ল্যান করা হলেও এবার প্রথম এনার্জি এবং পাওয়ারের সমন্বিত প্ল্যান করা হচ্ছে। নাম দেওয়া হয়েছে ‘পাওয়ার অ্যান্ড এনার্জি মাস্টারপ্ল্যান’। প্রাইমারি জ্বালানি ও গ্রিড নির্ভরতার দিকে খুবই জোর দেওয়া হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিদ্যুৎ বিভাগের উন্নয়ন ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসাইন।
শনিবার (১০ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ‘এনার্জি অ্যান্ড পাওয়ার’ আয়োজিত পাওয়ার সিস্টেম মাস্টারপ্ল্যান-২০১৬ রিভিউ শীর্ষক ভার্চুয়াল বিতর্কে এমন মতামত উঠে আসে।
মোহাম্মদ হোসাইন আরও বলেন, রিভিউ করবে সরকার, এক্সপার্ট সার্ভিস অতীতে আমরা বাইরে থেকে নিয়েছি। এবারও হয়তো নেওয়া হবে। আমাদের নিজেদের লোকজন নিবিড়ভাবে কাজ করবে। বৈশ্বিক পরিবেশ পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়েই মাস্টারপ্ল্যান করতে হবে। খুবই চ্যালেঞ্জিং হবে এবারের মাস্টারপ্ল্যান। খুবই ডিটেইল বিষয় বিশ্লেষণ করেই করতে হবে। ২০১৬ পিএসএমপির পাঁচ বছর পূর্ণ করতে যাচ্ছে। এটি রিভিশন হওয়া সময়ের দাবি, এটিই ট্রাডিশন।
জ্বালানি বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ড. ইজাজ হোসেন বলেন, রিয়ালিটি থেকে এতো দূরে কেন? আমার প্ল্যানের থেকে অনেক দূরে কেন? আমি দোষারোপ করছি না। এগুলোর কি আদৌ প্রয়োজন আছে! ডকুমেন্ট যতোই সুন্দর হোক না কেন, যদি অনুসরণ না করি তাহলে কি হবে। কোনো কিছুই প্ল্যান অনুযায়ী হয় না। রিভিউ করার প্রয়োজন রয়েছে, কারণ আমরা বাস্তবতা থেকে অনেক দূরে। স্ট্যান্ডবাই জেনারেটর ছাড়া শিল্প কারখানা স্থাপন করতে কেউ সাহস করে না। নির্ভরযোগ্য বিদ্যুতের ক্ষেত্রে জনগণের আস্থা আনতে পারেনি। আগামী প্ল্যানে অবশ্যই ৫০ শতাংশ নির্ভরযোগ্য হতে হবে।
বিইআরসির সাবেক সদস্য বাংলাদেশের মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়নে সবচেয়ে দীর্ঘ সময় ধরে কাজ করা প্রকৌশলী মিজানুর রহমান বলেন, রিভিউ করা খুবই জরুরি। প্ল্যান বেজড, হাই এবং লো তিন ধরনের বিষয় থাকে। কোনো সমস্যা হলে হাই-লোতে শিফট করা যায়। প্রথম মাস্টারপ্ল্যান হয়েছে ১৯৮৫ সালের ১০ বছর পর পর ১৯৯৫ ও ২০০৬ সালে। এরপর ২০১০ থেকে ৫ বছর পর পর নিয়মিত হয়েছে। ২০২০ সালে রিভিউ করা জরুরি ছিল, এখন না হলে ২০২১ সালে করা উচিত। ২০১০ সালে গ্যাসে হোচট খেলাম, তখন কয়লার দিকে ঝুঁকে গেলাম। অভ্যন্তরীণ কোলের লিমিটেশন রয়েছে। ২০১৬ সালে এসে পুরোপুরি বাদ দেওয়া হয়েছে। এখানে আমদানির দিকে ঝুঁকে যাওয়া হয়েছে সরকারের সিদ্ধান্তের কারণে।
প্ল্যানে কস্টিং, পরিবেশগত এবং অর্থনৈতিক বিষয় বিবেচনায় নেওয়া হয়। অন্যতম বিষয় হচ্ছে সঠিকভাবে চাহিদা বের করা, প্রাথমিক জ্বালানি ও প্রযুক্তিগত মূল্যায়ন। লোকেশন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বড়পুকুরিয়ায় বিপিডিবি ১৩০ ডলার প্রতি টন কয়লা কিনছে। তারচেয়ে আমদানি করা বেস্ট। অভ্যন্তরীণ কয়লা দিয়ে সর্বোচ্চ ৫-৭ হাজার মেগাওয়াট পেতে পারি। তাই আমদানির দিকে যেতেই হবে। অভ্যন্তরীণ কোল ফুয়েল কস্ট আড়াই টাকা, এলএনজি ৭-৮ ডলার হলে ৮ টাকার বেশি হয় না। আমদানিকৃত কয়লা ৬ টাকার মতো, নিউক্লিয়ার ৫ টাকার মতো পড়ে। এইচএফও ১২ টাকার মতো, ডিজেলে ১৮ টাকা। লিকুইড ফুয়েল থেকে বের হতে পারছি না। নবায়নযোগ্য জ্বালানির চেয়ে অনেক কম। হঠাৎ গত বছর ২০১৯ সালে দেখলাম ১২ হাজার মেগাওয়াট চাহিদা। কোভিডের কারণে ২০২০ সালে ১৩ হাজারের কাছাকাছি থেকেছে। হাই সিনারিও, লো সিনারিও রয়েছে। এখানে শিফট করা যায়। বেজড লোডের জন্য কয়লার বিকল্প আমি দেখি না।
এনার্জি অ্যান্ড পাওয়ারের কনসালটেন্ট এডিটর জ্বালানি বিশেষজ্ঞ খন্দকার আব্দুস সালেক সূফী বলেন, জ্বালানি মিশ্রণ চূড়ান্ত করে রিভিজিটিং জরুরি। ২০১০ সালের পিএসএমপি অর্জন করতে পারলাম না কেন? কয়লা তুলবই না হয়তো এমন বিবেচনা নিয়ে ২০১৬ সালে নতুনভাবে ভাবা হয়। আমাদের একটি কালচার রয়েছে জিডিপির উপর নির্ভর করে ডিমান্ড ফোরকাস্ট করা।
মাইনিং ইঞ্জিনিয়ার ড. মুশফিকুর রহমান বলেন, ৭ শতাংশ জিডিপি ধরে ফোরকাস্ট করেছি। এখন কি সেটি সম্ভব। সে কারণে রিভিউয়ে যেতে হবে। এখন পুরো রিভিউ হবে নাকি, সমন্বয়ের জন্য আংশিক হবে। নানা কারণে কয়লার বিষয়ে ব্যাকফুটে চলে গেছে পলিসি মেকাররা। বড়পুকুরিয়া ফুলবাড়ি বেল্ট সবচেয়ে ভায়াবল ফিল্ড। কমার্শিয়ালি করতে হলে ওপেনপিট করতে হবে। ওপেন কার্ট না হলে খুব অল্প সময়ের মধ্যে বড়পুকুরিয়া বন্ধ হয়ে যাবে। দীঘিপাড়া আমি খুব সুবিধার দেখি না। খালাশপীর কয়লা ক্ষেত্রের গ্রহণযোগ্য স্ট্যাডি হয়নি, তাই অনেক পিছিয়ে রয়েছে। ভূমি অধিগ্রহণ করার বিষয়টি বড় ইস্যু। কিন্তু সরকার পলিটিক্যালি সিদ্ধান্ত নেবেন কিনা, দায়িত্ব দিয়ে করবেন কিনা, যদি না করতে পারেন, তাহলে কয়লার কথা ভুলে যান। পরমাণু বিদ্যুৎ এলে ৪৯.৫ থেকে ৫১ মেগাহর্সে নিতে হবে। এ জন্য বিশাল ওভারেহোলিং করতে হবে। এখনই শুরু করা জরুরি। না হলে বিড়ম্বনা তৈরি হতে পারে।
সঞ্চালনা করেন এনার্জি অ্যান্ড পাওয়ারের এডিটর মোল্লাহ আমজাদ হোসেন। তিনি বলেন, আমাদের মাস্টারপ্ল্যানে আগেরটার সাথে পরেরটা পুরো বিপরীত দেখা গেছে। এক সময় গ্যাস নির্ভরতা ছিল।
শনিবার (১০ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ‘এনার্জি অ্যান্ড পাওয়ার’ আয়োজিত পাওয়ার সিস্টেম মাস্টারপ্ল্যান-২০১৬ রিভিউ শীর্ষক ভার্চুয়াল বিতর্কে এমন মতামত উঠে আসে।
মোহাম্মদ হোসাইন আরও বলেন, রিভিউ করবে সরকার, এক্সপার্ট সার্ভিস অতীতে আমরা বাইরে থেকে নিয়েছি। এবারও হয়তো নেওয়া হবে। আমাদের নিজেদের লোকজন নিবিড়ভাবে কাজ করবে। বৈশ্বিক পরিবেশ পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়েই মাস্টারপ্ল্যান করতে হবে। খুবই চ্যালেঞ্জিং হবে এবারের মাস্টারপ্ল্যান। খুবই ডিটেইল বিষয় বিশ্লেষণ করেই করতে হবে। ২০১৬ পিএসএমপির পাঁচ বছর পূর্ণ করতে যাচ্ছে। এটি রিভিশন হওয়া সময়ের দাবি, এটিই ট্রাডিশন।
জ্বালানি বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ড. ইজাজ হোসেন বলেন, রিয়ালিটি থেকে এতো দূরে কেন? আমার প্ল্যানের থেকে অনেক দূরে কেন? আমি দোষারোপ করছি না। এগুলোর কি আদৌ প্রয়োজন আছে! ডকুমেন্ট যতোই সুন্দর হোক না কেন, যদি অনুসরণ না করি তাহলে কি হবে। কোনো কিছুই প্ল্যান অনুযায়ী হয় না। রিভিউ করার প্রয়োজন রয়েছে, কারণ আমরা বাস্তবতা থেকে অনেক দূরে। স্ট্যান্ডবাই জেনারেটর ছাড়া শিল্প কারখানা স্থাপন করতে কেউ সাহস করে না। নির্ভরযোগ্য বিদ্যুতের ক্ষেত্রে জনগণের আস্থা আনতে পারেনি। আগামী প্ল্যানে অবশ্যই ৫০ শতাংশ নির্ভরযোগ্য হতে হবে।
বিইআরসির সাবেক সদস্য বাংলাদেশের মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়নে সবচেয়ে দীর্ঘ সময় ধরে কাজ করা প্রকৌশলী মিজানুর রহমান বলেন, রিভিউ করা খুবই জরুরি। প্ল্যান বেজড, হাই এবং লো তিন ধরনের বিষয় থাকে। কোনো সমস্যা হলে হাই-লোতে শিফট করা যায়। প্রথম মাস্টারপ্ল্যান হয়েছে ১৯৮৫ সালের ১০ বছর পর পর ১৯৯৫ ও ২০০৬ সালে। এরপর ২০১০ থেকে ৫ বছর পর পর নিয়মিত হয়েছে। ২০২০ সালে রিভিউ করা জরুরি ছিল, এখন না হলে ২০২১ সালে করা উচিত। ২০১০ সালে গ্যাসে হোচট খেলাম, তখন কয়লার দিকে ঝুঁকে গেলাম। অভ্যন্তরীণ কোলের লিমিটেশন রয়েছে। ২০১৬ সালে এসে পুরোপুরি বাদ দেওয়া হয়েছে। এখানে আমদানির দিকে ঝুঁকে যাওয়া হয়েছে সরকারের সিদ্ধান্তের কারণে।
প্ল্যানে কস্টিং, পরিবেশগত এবং অর্থনৈতিক বিষয় বিবেচনায় নেওয়া হয়। অন্যতম বিষয় হচ্ছে সঠিকভাবে চাহিদা বের করা, প্রাথমিক জ্বালানি ও প্রযুক্তিগত মূল্যায়ন। লোকেশন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বড়পুকুরিয়ায় বিপিডিবি ১৩০ ডলার প্রতি টন কয়লা কিনছে। তারচেয়ে আমদানি করা বেস্ট। অভ্যন্তরীণ কয়লা দিয়ে সর্বোচ্চ ৫-৭ হাজার মেগাওয়াট পেতে পারি। তাই আমদানির দিকে যেতেই হবে। অভ্যন্তরীণ কোল ফুয়েল কস্ট আড়াই টাকা, এলএনজি ৭-৮ ডলার হলে ৮ টাকার বেশি হয় না। আমদানিকৃত কয়লা ৬ টাকার মতো, নিউক্লিয়ার ৫ টাকার মতো পড়ে। এইচএফও ১২ টাকার মতো, ডিজেলে ১৮ টাকা। লিকুইড ফুয়েল থেকে বের হতে পারছি না। নবায়নযোগ্য জ্বালানির চেয়ে অনেক কম। হঠাৎ গত বছর ২০১৯ সালে দেখলাম ১২ হাজার মেগাওয়াট চাহিদা। কোভিডের কারণে ২০২০ সালে ১৩ হাজারের কাছাকাছি থেকেছে। হাই সিনারিও, লো সিনারিও রয়েছে। এখানে শিফট করা যায়। বেজড লোডের জন্য কয়লার বিকল্প আমি দেখি না।
এনার্জি অ্যান্ড পাওয়ারের কনসালটেন্ট এডিটর জ্বালানি বিশেষজ্ঞ খন্দকার আব্দুস সালেক সূফী বলেন, জ্বালানি মিশ্রণ চূড়ান্ত করে রিভিজিটিং জরুরি। ২০১০ সালের পিএসএমপি অর্জন করতে পারলাম না কেন? কয়লা তুলবই না হয়তো এমন বিবেচনা নিয়ে ২০১৬ সালে নতুনভাবে ভাবা হয়। আমাদের একটি কালচার রয়েছে জিডিপির উপর নির্ভর করে ডিমান্ড ফোরকাস্ট করা।
মাইনিং ইঞ্জিনিয়ার ড. মুশফিকুর রহমান বলেন, ৭ শতাংশ জিডিপি ধরে ফোরকাস্ট করেছি। এখন কি সেটি সম্ভব। সে কারণে রিভিউয়ে যেতে হবে। এখন পুরো রিভিউ হবে নাকি, সমন্বয়ের জন্য আংশিক হবে। নানা কারণে কয়লার বিষয়ে ব্যাকফুটে চলে গেছে পলিসি মেকাররা। বড়পুকুরিয়া ফুলবাড়ি বেল্ট সবচেয়ে ভায়াবল ফিল্ড। কমার্শিয়ালি করতে হলে ওপেনপিট করতে হবে। ওপেন কার্ট না হলে খুব অল্প সময়ের মধ্যে বড়পুকুরিয়া বন্ধ হয়ে যাবে। দীঘিপাড়া আমি খুব সুবিধার দেখি না। খালাশপীর কয়লা ক্ষেত্রের গ্রহণযোগ্য স্ট্যাডি হয়নি, তাই অনেক পিছিয়ে রয়েছে। ভূমি অধিগ্রহণ করার বিষয়টি বড় ইস্যু। কিন্তু সরকার পলিটিক্যালি সিদ্ধান্ত নেবেন কিনা, দায়িত্ব দিয়ে করবেন কিনা, যদি না করতে পারেন, তাহলে কয়লার কথা ভুলে যান। পরমাণু বিদ্যুৎ এলে ৪৯.৫ থেকে ৫১ মেগাহর্সে নিতে হবে। এ জন্য বিশাল ওভারেহোলিং করতে হবে। এখনই শুরু করা জরুরি। না হলে বিড়ম্বনা তৈরি হতে পারে।
সঞ্চালনা করেন এনার্জি অ্যান্ড পাওয়ারের এডিটর মোল্লাহ আমজাদ হোসেন। তিনি বলেন, আমাদের মাস্টারপ্ল্যানে আগেরটার সাথে পরেরটা পুরো বিপরীত দেখা গেছে। এক সময় গ্যাস নির্ভরতা ছিল।